ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ

বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত মেক্সিকো ও ব্রাজিল

মেক্সিকো ও ব্রাজিলের নেতারা বলেছেন, তারা তাদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে কাজ করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক সংক্রান্ত অস্থির অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার (৯ এপ্রিল) এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতির দেশ। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা হন্ডুরাসে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও বাড়তে থাকা বহিষ্কারের বিরুদ্ধে কৌশল নির্ধারণে আলোচনা করেন এই দুই নেতা।

বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লুলা বলেন, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর সরকার ও ব্যবসায়ী মহলের নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে আমরা আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১১ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ২০ জন প্রতিনিধি ওই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ‘কমিউনিটি অব ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস’ নামে পরিচিত সম্মেলনে বৈশ্বিক উত্তেজনার মুখে মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়।

সম্মেলনে শেইনবাউম বলেন, ‘আজকের দিনে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলকে ঐক্য ও সংহতির প্রয়োজন আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি।'

বুধবার ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য বৈশ্বিক শুল্ক স্থগিত করেন। তবে শুধু চীনের ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ১২৫% করা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধে আরও এক ধাপ উত্তেজনা যোগ করেছে।

এই সাময়িক বিরতি সত্ত্বেও, অনেক বাণিজ্যিক অংশীদার ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে অসন্তোষ রয়ে গেছে। তারা এখন অনিশ্চয়তার মুখে বিকল্প নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার খুঁজতে শুরু করেছে।

অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্পের বিতর্কিত বহিষ্কার নীতি নিয়ে ক্ষোভ, যা এখন আইনি তদন্ত ও মানবাধিকার সংস্থার সমালোচনার মুখে পড়ছে। এ ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে বিদেশি দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।