ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার গঞ্জালেজের

স্পেনে আশ্রয় পাওয়ার পর ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির বিরোধী নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টায় স্ত্রীসহ মাদ্রিদের তোরেহোন দে আরদোজ সামরিক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান তিনি। এর আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে কারাকাসে স্পেনের দূতাবাসে লুকিয়েছিলেন গঞ্জালেজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

মাদ্রিদ থেকে এক অডিও বার্তায় গঞ্জালেজ বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা শীঘ্রই স্বাধীনতা ও ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করব।’ পরে তার প্রেস টিম অডিওটি শেয়ার করে। 

দেশত্যাগের আগে ভেনিজুয়েলা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং নথি জালিয়াতিসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

তার সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং স্পেনে তার আগমনের সত্যতা নিশ্চিত করে গঞ্জালেজ বলেন, ‘সরকারের চাপ, জবরদস্তি ও হুমকির মুখ কারাকাস থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি আমি।’ স্পেন দূতাবাসে আশ্রয় না নিলে তাকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হতো না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে দেশের বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো গঞ্জালেজের জীবন হুমকির মধ্যে ছিল উল্লেখ করে তার দেশত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান।  পোস্টে তিনি নির্বাচন পরবর্তী ‘নিষ্ঠুর দমনের’ কথাও উল্লেখ করেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল ভেনিজুয়েলার জনপ্রিয় নেতা মাচাদোর। কিন্তু প্রেসিডেন্টের অনুগত প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ মুহূর্তে তাকে নির্বাচনে বাধা দেয়। 

২৮ জুলাইয়ের নির্বাচনে, অনলাইনে বিশদ ভোটের তালিকা প্রকাশ করে বিরোধী দল দাবি করে ৭৫ বছর বয়সী গঞ্জালেজ ব্যাপক ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু তা নাকচ করে মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়।