পশ্চিম তীরে দূতাবাস খোলার নির্দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে দূতাবাস খোলার নির্দেশ দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। বুধবার (২৩ মে) দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস গিলবার্তো মুরিলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস গিলবার্তো মুরিলো জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের রামাল্লাহ শহরে একটি দূতাবাস খোলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পেট্রো।

মুরিলো আরও বলেন, আমি মনে করি, জাতিসংঘের আগেই  আরও কয়েকটি দেশ শীঘ্রই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করবে। ফিলিস্তিনিকে ইতোমধ্যেই সমর্থন দিয়েছে কলম্বিয়া।

এই মাসের শুরুতে তেল আবিব থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়ে পেট্রো বলেছেন, গাজায় আগ্রাসন চালানোর কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবেন তিনি। ৩ মে ইসরায়েলে কলম্বিয়ার দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তের পর পেট্রোর বিরুদ্ধে ‘সাম্প্রদায়িকতার’ অভিযোগ এনেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তিনি বলেছেন, কলম্বিয়ার এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার স্বরূপ।

পেট্রোর অভিযোগ, ইহুদিদের সম্পর্কে নাৎসিরা যেভাবে কথা বলেছিল, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ওই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। অক্টোবরে, সংঘাত শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন পর ইসরায়েল কলম্বিয়াতে সামরিক রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

এপ্রিলে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় যোগদানের অনুরোধ করেছিলেন পেট্রো।

কলম্বিয়া সরকার জানিয়েছে, কলম্বিয়ার লক্ষ্য হলো, গাজায় ফিলিস্তিনিদের দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কসহ দুর্বল জনগোষ্ঠীর প্রত্যেকের নিরাপত্তা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করা।

পশ্চিম তীরের একটি শহর হলো রামাল্লাহ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক রাজধানী হিসেবে কাজ করে এই শহর।

কলম্বিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা প্রথম ল্যাটিন আমেরিকার দেশ নয়। গত বছরের অক্টোবরের শেষে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলিভিয়া। এছাড়া চিলি ও হন্ডুরাসসহ লাতিন আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।