কাশ্মীর ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল

ভারতের বুথ ফেরত জরিপ ভুল প্রমাণিত

সব সমীক্ষা ও বুথফেরত জরিপকে ভুল প্রমাণিত করে ভারতের হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনায় চমক দেখা গেলো। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ফলাফলে দেখা গেল, হরিয়ানায় টানা তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন থাকার রেকর্ড সৃষ্টি করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। তবে জম্মু-কাশ্মীরে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। সেখানে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি (এনসিপি)-এর জোট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে,হরিয়ানা বিধানসভার মোট ৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৮ আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৭টিতে।ইন্ডিয়ান লোক দল ৩টি আসনে। আর  ৩ আসন পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। 

অথচ বুথ ফেরত জরিপগুলো বলেছিল, হরিয়ানায় বিজেপির এক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। ৯০টি আসনের মধ্যে সেখানে কংগ্রেস পেতে পারে ৫৫টি। বিজেপি পেতে পারে ২৪টি আসন।

হরিয়ানা ও জম্মু-কাশীরের ভোটের ফলাফল। ছবি: এনডিটিভি

ফলাফল অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের ৯০টি আসনের মধ্যে ফারুক আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহর এনসিপি ও বিরোধী কংগ্রেস জোট ৪৯ আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৯টিতে। পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) মাত্র তিনটি আসনে এবং সিপিএম এবং আম আদমি পার্টি একটি করে আসনে এগিয়ে রয়েছে।

ভোটের এ ফলাফলকে রাজ্যটিতে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জয় হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

অথচ বুথ ফেরত জরিপগুলো বলেছিল, ঝুলন্ত বিধানসভা পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর।

সেই অর্থে দুই বিধানসভার ফলই বিস্ময়কর। কারণ ভোটের আগে সব জনমত সমীক্ষা এবং ভোটের পর প্রতিটি বুথ ফেরত জরিপ হরিয়ানায় কংগ্রেসকে বিপুলভাবে জয়ী দেখিয়েছিল।

এদিকে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করেছিল বিজেপি সরকার। রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু এই জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের ফল মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির অসাড়ত্বকেই প্রমাণ করে দিল। জনগণ বুঝিয়ে দিল, বিজেপির কৌশল এখানে ব্যর্থ। ফলে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে মোদির কাশ্মীর নীতি। শুধু ভারতে নয়, বরং প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গেও এই ইস্যুতে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে।