সহিংসতার পর ‘অর্থনৈতিক বয়কটের’ মুখে হরিয়ানার মুসলিমরা 

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জেরে অঞ্চলের মুসলিমদের সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উগ্র ডানপন্থি হিন্দু সংগঠনগুলো। তারা মুসলমানদের সংঘাত কবলিত গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় হামলার পর ৩১ জুলাই রাজ্যের নুহ জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুই নিরাপত্তারক্ষীসহ ৬ জন নিহত হয়।

সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ দ্রুত অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। গুরুগ্রামে একটি মসজিদে আগুন দেওয়া হলে সহকারি ইমাম ২২ বছরের মোহাম্মদ সাদ নিহত হন।

সহিংসতার পর বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদের আহ্বান জানানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২ আগস্ট হিসার জেলার হানসি শহরে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। এতে হিন্দু ডানপন্থি দল বজরং দলের নেতা কৃষ্ণ গুরজরাকে আল্টিমেটাম দিতে শোনা যায়।

তিনি বলেছিলেন, দোকানপাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে মুসলিম কর্মচারীকে বরখাস্ত করতে হবে, তা না হলে তাদের বয়কট করা হবে।   

এ বিষয়ে গুরজার আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গাদের মতো বহিরাগত মুসলমানদের উচ্ছেদের কথা বলেছিলাম।’

এদিকে হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩১২ জনকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। নজরদারিতে রাখা হয়েছে অন্তত ১০৬ জনকে।

সম্প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন আইনজীবী শাহরুখ আলম।  মুসলিমদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বয়কট আহ্বানকে কাঠামোগত সহিংসতার অংশ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

চলতি বছরের এপ্রিলে অভিযোগ দায়েরের অপেক্ষা না করে ঘৃণাত্মক বক্তব্যের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করতে রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

সূত্র: আল জাজিরা