জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। জার্মান পার্লামেন্টের ৬৩০ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৯টি দলের মোট ৪ হাজার ৫০৬ জন প্রার্থী। ভোট দিচ্ছেন প্রায় ৫ কোটি ৯২ লাখ ভোটার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দেশটিতের এমন এক সময়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে জনগণের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। এছাড়া একের পর এক মর্মান্তিক হামলার কারণে দেশটিতে অভিবাসন এবং নিরাপত্তা ইস্যুটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র।
ভোটে ৬৯ বছর বয়সী কনজারভেটিভ নেতা ফ্রেডরিখ মের্জ জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জয়ী হলে আগামী চার বছরের মধ্যে দেশের অধিকাংশ সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মের্জ। তবে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি ও অবকাঠামোর দুর্বলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
মের্জের খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) যদি জয়ী হয়, তবে তাকে একটি জোট তৈরি করতে হবে। সম্ভবত ওলাফ শল্টজের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস দলের সাথে। ওলাফের সরকার গত বছরের শেষ দিকে ভেঙে গিয়েছিল। অবশ্য জার্মানির রাজনীতিতে সরকার গঠনের ঐতিহ্য হলো, জোট বেঁধে সরকার গঠন। কারণ, সরকার গঠনের মতো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট কোনো দলই পায় না।
ভোটের আগের সন্ধ্যায়, মের্জ ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ফার-রাইট পার্টি আলটেরনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সঙ্গে কোনও চুক্তি করবেন না। এবারের নির্বাচনে দলটি দ্বিতীয় শক্তিশালী দলে পরিণত হতে পারে।
তবে ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক সহায়ক হিসেবে, জার্মানির পরবর্তী সরকার এমন একটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্মুখীন হবে যিনি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে একজন স্বৈরাচারী হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের ঐক্য ভেঙে ফেলেছেন।