কিয়েভে রুশ হামলা, দ. আফ্রিকা সফর সংক্ষিপ্ত করলেন জেলেনস্কি

কিয়েভে রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সংক্ষিপপ্ত করে দেশে ফিরবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনে ফিরবেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

জেলেনস্কি আরও জানান, রাতভর হামলায় ‘গুরুতর ধ্বংসযজ্ঞ’ হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।

মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রস্তাবিত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি এবং হামলা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে ৪৪ দিন আগে। এই হামলা অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে বন্ধ করা উচিত।’

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত আটজন নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশুও রয়েছে।

রাশিয়ার আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় জেলেনস্কির সফর ইউক্রেনীয় নেতার জন্য একটি কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।  

এই রাষ্ট্রীয় সফর দু’বছর আগেও অকল্পনীয় ছিল। ওই সময় রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দা করতে দক্ষিণ আফ্রিকার অস্বীকৃতি কিয়েভের জন্য হতাশার কারণ হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট রামাফোসা তখন কিয়েভে একটি স্বঘোষিত শান্তি মিশনের অংশ হিসেবে আফ্রিকান নেতাদের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

কিন্তু ওই বৈঠকের পর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মৌলিকভাবে বদলে গেছে। উভয় দেশই এখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে।

নভেম্বর মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনঃনির্বাচিত হওয়ার আগে  যুক্তরাষ্ট্র ছিল ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এখন ইউক্রেন তার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের পরিসর বাড়াতে চায়—বিশেষ করে আফ্রিকায়, যেখানে অনেক দেশের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও ওয়াশিংটনের সঙ্গে টানাপোড়েনে জড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে এবং সাহায্য তহবিল বন্ধ করেছে।