ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপি আপসানা

এবার পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি চাইলেন পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি পার্লামেন্টের বিশ জনেরও বেশি সদস্য পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তির জন্য পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামিকে অনুরোধ করেছেন। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপিদের মধ্যে কেবল আপসানা বেগম এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বলে সোমবার পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

ইমরান খানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা জুলফি বুখারির অনুরোধে লিভারপুল রিভারসাইডের এমপি কিম জনসনের নেতৃত্বে একটি চিঠিতে আবেদনটি এসেছে। এতে হাউজ অব কমন্স এবং হাউজ অব লর্ডস উভয়ের সদস্যরা স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে এমপি কিম জনসন, পলা বার্কার, আপসানা বেগম, লিয়াম বাইর্ন, রোজি ডাফিল্ড, গিল ফার্নিস, পলেট হ্যামিল্টন, পিটার ল্যাম্ব, অ্যান্ডি ম্যাকডোনাল্ড, বেল রিবেইরো-অ্যাডি, লর্ড পিটার হেইন, লর্ড জন হেন্ডি এবং লর্ড টুডেনহফেল অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, আমরা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অব্যাহত আটকের বিষয়ে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লিখছি। আপনি জানেন যে, খানকে ২০২৩ সালে বন্দি করা হয়েছিল। জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন খুঁজে পেয়েছিল যে, এর কোনও আইনি ভিত্তি ছিল না এবং তাকে রাজনৈতিক পদের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। এভাবে, শুরু থেকেই, সেই বিচারটি আইনের ভিত্তিতে ছিল না এবং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত ছিল।

তারা আরও বলেন, এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, ইমরানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো এখন পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার করার জন্য রাজনৈতিক বিরোধী নেতাদের ভয় দেখানো, হয়রানি ও নিশানা করার একটি প্যাটার্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে।

টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার অধিবাসী মরহুম মনির উদ্দিন আহমেদের কন্যা আপসানার লেবার পার্টির রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিল সাবেক দলীয় শীর্ষনেতা বামপন্থি জেরেমি করবিনের হাত ধরে। ৩৪ বছর বয়সী আপসানা পূর্ব লন্ডনের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। পপলার ও লাইমহাউজের এই এমপিসহ সাতজন লেবার দলীয় এমপিকে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে ভোট দেওয়ায় গত জুনে পার্লামেন্টারি দল থেকে বরখাস্ত করা হয়।