ইউক্রেনকে ৫০০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে জি-৭

ইউক্রেনকে ৫ হাজার কোটি ডলার ঋণ দেবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭)। বুধবার (২৩ অক্টোবর) হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, তহবিলটি রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকেই দেওয়া হবে। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এই খবর জানিয়েছে।

আমেরিকার কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ঋণের অর্থ দেওয়া শুরু হবে। মোট অর্থের ২ হাজার কোটি ডলারই দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছরের প্রথম দিকে এই বিশাল অংকের ঋণ দেওয়ার উপায় নিয়ে একমত পোষণ করে ধনী রাষ্ট্রগুলো। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে আত্মরক্ষায় সহযোগিতা করতে এই দিতে রাজি হয় তারা।

রাশিয়ার জব্দ করা অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদকে এই ঋণের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণটি আমেরিকান করদাতাদের অর্থে নয়, বরং রাশিয়ার জব্দ করা অর্থের লভ্যাংশ থেকে দেওয়া হবে। বুধবার ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন ও ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী সের্গেই মারচেংকো এই পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রতিশ্রুতি স্বাক্ষর করেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার ইয়েলেন বলেছিলেন, ‘রাশিয়াই এই সহায়তার অর্থ দিচ্ছে।’ ঋণের এই প্যাকেজটি চূড়ান্ত হবার পথে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

২ হাজার কোটি ডলার অর্থ ইউক্রেনের অর্থনীতি ও সামরিক খাতে ভাগ করে দিতে চায় বাইডেন প্রশাসন। তবে সামরিক সহায়তা পাঠাতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন লাগে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, অস্ত্র ও সাজসরঞ্জামের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা ইউক্রেনে সরবরাহ করতে কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।

অবশিষ্ট ৩ হাজার কোটি ডলার আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাপানসহ অন্যান্য দেশ থেকে

রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার ধারণাটিতে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা প্রথমে দ্বিমত পোষণ করেন। আইনি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে তখন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তারা।

এক বছরেরও বেশী সময় আলাপ আলোচনা শেষে এবং এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইন স্বাক্ষর করার পর এই পদক্ষেপ গতি পায়। ওই আইন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার প্রায় ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ আটক করার অনুমতি দেয়