রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের হাতে পৌঁছালো পশ্চিমা অস্ত্র

রণক্ষেত্রের সম্মুখভাগে ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলোর কাছে পশ্চিমা অস্ত্র পৌঁছেছে। ওয়াশিংটনে কয়েক মাসের রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে ইউক্রেনে জন্য পশ্চিমা অস্ত্রের সরবরাহের একটি প্যাকেজ দীর্ঘদিন আটক ছিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজটির অনুমোদন দেয় মার্কিন কংগ্রেস। এর আওতায় এখন ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলোতে একটি নতুন অস্ত্র সরবরাহ প্রবাহ আসতে শুরু করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

ডোনেস্ক অঞ্চলে একটি গোলাবারুদের একটি ইউনিট রয়টার্সের সাংবাদিকরা যখন পরিদর্শন করছিলেন, তখন রুশ সেনাদের মনোযোগ ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের এক হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ডোনেস্কে তাদের ধীর অগ্রগতি। প্রয়োজনে এম-১০৯ স্ব-চালিত হাউইৎজার থেকে গোলাও ছুড়েছিল তারা।

এর আগে, সেনারা জানিয়েছিল, শত্রুর বিরুদ্ধে ১৫৫ মিলিমিটার রাউন্ডের গোলার ব্যবহার সীমিত করতে তাদের বাধ্য করা হয়েছিল। তখন পদাতিক বাহিনীকে আরও এগিয়ে নিতে সক্ষম ছিল তারা। তবে তাদের এটি করা থেকেও বিরত রাখা হয়।

পুরো নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ৪৬ বছর বয়সী এক ইউনিট কমান্ডার জানিয়েছ্নে, সেখানে ‘কামানের গোলার অভাব’ ছিল। গোলাবারুদও ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। এটি পদাতিক বাহিনীর ওপর প্রভাব ফেলে। রুশ সেনারা চারদিক থেকে আক্রমণ করলে বিপাকে পড়েন তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর কামানের গোলার অভাব নেই এবং আমরা ভালোভাবে কাজ করছি।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার পর থেকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে গোলাবারুদের চাহিদা বেড়েছে। এদিকে, কিয়েভের পশ্চিমা মিত্রদের নিজস্ব মজুদ কমে গেছে। কেননা, ইউক্রেনে তারা কামানের গোলা সরবরাহ করছেন, যেখানে প্রতিদিনই হাজার হাজার রাউন্ডের প্রয়োজন পড়ছে।