ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন

বিজয়ী এই প্রার্থীরা কারা?

এবারের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে সাইপ্রাস, জার্মানি, পোল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে বিজয়ী হয়েছেন এমন কিছু ব্যক্তি, যাদের রাজনৈতিক কোনও পরিচিতি নেই। অবশ্য সাইপ্রাসের শ্রমজীবী মানুষের প্রগতিশীল দলের মহাসচিব স্টেফানোস স্টেফানো এই ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে বলেছেন, এটা এক নতুন বাস্তবতা, যেখানে অরাজনীতিকে রাজনৈতিক পছন্দ হিসেবে বেছে নিচ্ছে নাগরিকরা। অরাজনৈতিক এই ব্যক্তিরা কারা? এ নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুন) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন বার্তা সংস্থা-অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

সাইপ্রাস

সাইপ্রাস থেকে বিজয়ী হয়েছেন ফিডিয়াস পানাইওতোউ। তার কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যও নন। ২৪ বছর বয়সী ফিডিয়াসের যা আছে তা হলো-ইউটিউবে তার ২০ লাখ ৬০ হাজার ফলোয়ার। এর চেয়ে বেশি ফলোয়ার আছে টিকটকে। এবারের ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে সাইপ্রাস থেকে প্রতিনিধিত্ব করে একটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন ফিডিয়াস। এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে সাইপ্রাস থেকে বিজয়ী ইউটিউবার ফিডিয়াস পানাইওতোউ। ছবি: এপি।

জার্মানি

জার্মানির কট্টর ডান-পন্থি দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) এক প্রার্থী ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ। তার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রপাগান্ডা চালানোর পরও তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রাহ একটি আইন সংস্থায় কাজ করেন এবং পূর্ব জার্মানির শহর ড্রেসডেনে থাকেন। চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে তার বিরুদ্ধে নানা রকম প্রচারণা চালানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। এমনকি তার দলের সদস্যরাও তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারপরও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

ইতালি

ইতালির মানবাধিকার কর্মী ইলারিয়া সালিস। ৪০ বছর বয়সী সালিস হাঙ্গেরিতে গৃহবন্দী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অতি ডানপন্থিদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারপরও বোম-জোট এভিএস থেকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

স্পেন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী আর্রমড অভিবাসী-বিরোধী বক্তৃতা দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন স্পেনে। ৩৪ বয়সী এই চালক অ্যালভিস পেরেজ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত। তিনি যে দল প্রতিষ্ঠান করেছেন তার নাম ‘পার্টি ইক ওভার’। নির্বাচনের আগেও তিনি এবং তার দলকে কেউই চিনতো না। কিন্তু ইন্টারনেটের এই দুনিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।