ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করলে হামাস শক্তিশালী হবে: ব্রিটেন

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন,ইসরায়েলের কাছে বিক্রি বন্ধ করা কোনও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। রবিবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা কেবল হামাসকে শক্তিশালী করবে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। 

দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা চালালে ইসরায়েলকে আক্রমণাত্মক অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যামেরন বলেন, দুটি দেশের তুলনা করা যায় না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে ব্রিটেন ইসরায়েলকে খুব অল্প পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনদিনই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রধান দেশ ছিল না। ইসরায়েল যত অস্ত্র পায় তার  অন্তত মাত্র ১ শতাংশেরও কম ইউকে সসরবরাহ করে।

কীভাবে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই যুক্তরাজ্য রাফাতে বড় ধরনের আক্রমণকে সমর্থন করে না বলেও উল্লেখ করেছেন ক্যামেরন।

তিনি বলেন, আমাদের একটা লাইসেন্স ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে  গুরুতর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সেই লাইসেন্সগুলি বন্ধ করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় হামাসের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি রাফাহ শহরে হামলা হলে, ইসরায়েলকে  অস্ত্র ও কামান সরবরাহ বন্ধ করে দেবে তার সরকার।

যুক্তরাজ্যের বিরোধী লেবার পার্টি ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাফায় হামলা হলে যুক্তরাজ্যেরও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করা উচিত।ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা বন্ধ করা উচিত।

অলাভজনক প্রতিষ্ঠান-অস্ত্র বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযানের (সিএএটি) পূর্বানুমান, ২০১৫ সাল থেকে ইসরায়েলে যুক্তরাজ্য যেসব অস্ত্র রপ্তানি করে তার প্রকৃত মূল্য অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।