২৬ বছরের আগে মায়েদের কথার গুরুত্ব দেয় না সন্তানেরা: জরিপ

নিঃসন্দেহে মায়েরা সন্তানের ভালোর জন্য প্রয়োজনীয় সবটাই বোঝেন। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট বয়সের আগে সন্তানেরা মায়ের কথাকে সেভাবে মূল্যায়ন করে না। ব্রিটেনে চালানো এক জরিপে ওঠে এসেছে এমন তথ্য।  

এবারের মা দিবসকে (১৪ মে) ব্রিটেনের প্রায় দুই হাজার মানুষের ওপর চালানো একটি জরিপ রবিবার (১২ মার্চ) প্রকাশ হয়। এতে দেখা গেছে, ২৬ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী তাদের মায়ের দেওয়া পরামর্শকে উপেক্ষা করেছে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের কথা অমান্য করার ভুল বুঝতে পারে তারা।  অতীতে তাকিয়ে তারা বুঝতে পেরেছে যে মায়ের কথাগুলো কতটা সঠিক ছিল।

জরিপে প্রতি দশ জনে প্রায় ছয় জনই বলেছেন, নিজের সন্তান হওয়ার পর তারা মায়ের কথার যথার্থতা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পেরেছে। প্রায় ৪২ শতাংশ বলেছে, মানুষের সঙ্গে সেরকম আচরণই করা উচিত, যেরকম আচরণ নিজের জন্য প্রত্যাশা করে মানুষ।

জরিপে অংশ নেওয়া এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ তাদের মায়ের পরামর্শকে যথাসময়ে সঠিকভাবে গুরুত্ব না দেওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। আর এক-পঞ্চমাংশ বলেছেন, ৩১ বছর বয়সের কাছাকাছি পৌঁছে তারা তাদের মায়ের মতই হয়ে গেছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া তিন-চতুর্থাংশ রবিবার (ছুটির দিন) মায়ের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যারা যেতে পারবেন না, তারা মাকে উপহার পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে ব্যতিক্রম ঘটেছে প্রায় ৪০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে। দশ জনের চার জন জানিয়েছেন, মা ছিলেন তাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু এবং সপ্তাহে গড়ে আট বার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তারা।

দশ জনে চার জন তাদের মায়ের ‘সেন্স অব হিউমার’ এর প্রশংসা করেছেন। মায়ের সঙ্গে তাদের অনেকেরই মিলে যায় প্রিয় খাবার, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিসহ আরও অনেক বিষয়।

অনেকেই আবার সন্তান লালন-পালনে অনুসরণ করছেন মায়ের পদ্ধতি। এই জরিপ চালানো পোস্ট অফিসের সদস্য লড়া জোসেফ বলেন, ‘আমাদের জীবনে মায়ের গুরুত্ব দেখে ভালো লাগছে। যদিও আমাদের উচিত ছিলো তাদের আরও বেশি মেনে চলা।’ সূত্র: ডেইলি মেইল