কাশ্মীরে হামলা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ভারতে তোপের মুখে বিবিসি

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটনকেন্দ্রে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘিরে সংবাদ প্রকাশের জন্য ভারতের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এই ঘটনায় দেশটির সরকার বিবিসির ভারত শাখার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

বিতর্ক শুরু হয়, যখন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিল, ‘পাকিস্তান ভারতীয়দের ভিসা স্থগিত করেছে কাশ্মিরে প্রাণঘাতী পর্যটক হামলার পর’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে অভিযোগ করেন, এই শিরোনাম বিভ্রান্তিকর এবং ভারতের বিরুদ্ধে ভুল ধারণা তৈরি করছে।

সরকার অভিযোগ করেছে, প্রতিবেদনে ‘সন্ত্রাসী’ শব্দের পরিবর্তে ‘সশস্ত্র যোদ্ধা’ বলা হয়েছে, যা হামলাকারীদের প্রকৃত পরিচয় আড়াল করছে।

এদিকে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া উসকানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ঠেকাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলও ব্লক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডন, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বল নিউজ, রাফতার, জিও নিউজ ও শুনো নিউজের ইউটিউব চ্যানেল। এছাড়া সাংবাদিক ইরশাদ ভট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা ও মুনীব ফারুকের চ্যানেলও ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভারতের সরকারি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর ভারত ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ঠেকাতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার পর পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদেরও দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ভিসায় আসা ব্যক্তিদের মঙ্গলবারের মধ্যে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে শিমলা চুক্তিসহ সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত করেছে।