পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় আলাদা সংঘর্ষে ২ সেনা ও ১৫ সন্ত্রাসী নিহত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় তিনটি আলাদা সংঘর্ষে ২ সেনা সদস্য এবং ১৫ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সেনাবাহিনীর সংবাদমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান চালানোর সময় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার এবং শনিবার গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযান পরিচালিত হয়।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, কারাক জেলায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবরের ভিত্তিতে পরিচালিত এক অভিযানের সময় সেনা সদস্যরা দক্ষতার সঙ্গে হামলা চালিয়ে আট সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আরেকটি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী আরও চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

তবে তীব্র গুলি বিনিময়ের সময় দুই সাহসী সেনা- ল্যান্স নায়েক উসমান মোহাম্মদ ও সিপাহি ইমরান খান বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে শাহাদাত বরণ করেছেন।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার গোমাল জম এলাকার আরেকটি সংঘর্ষে আরও তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বহু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। ওই এলাকাগুলোতে অন্য কোনও সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকলে তাদের খুঁজে বের করে নির্মূল করতে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হচ্ছে।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদের মূলোচ্ছেদে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমাদের সাহসী সৈনিকদের এই ধরনের ত্যাগ আমাদের সংকল্প আরও দৃঢ় করেছে।  ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমন অভিযান বেড়েছে।

এদিকে ২০২২ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর, গত বছর থেকে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে গেছে।

গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০২৫ অনুযায়ী, পাকিস্তান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সেখানে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮১ জনে পৌঁছেছে।