২৯ বছর চাকরি করা এক জাপানি বাসচালককে যাত্রীদের ভাড়া থেকে মাত্র ৭ ডলার (প্রায় ৬০০ টাকা) চুরির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর ফলে তিনি ৮৪ হাজার ডলার (প্রায় ৭১ লাখ টাকা) মূল্যের পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
২০২২ সালে কিয়োতো সিটির এক বাসের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েন ওই চালক। ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, তিনি যাত্রীদের কাছ থেকে ১ হাজার ইয়েন (প্রায় ৫৯৯ টাকা) আত্মসাৎ করছেন। এরপর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং ১২ মিলিয়ন ইয়েনের (প্রায় ৭১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা) বেশি অবসর সুবিধা দেওয়া হয়নি।
চালক আদালতে মামলা করলেও প্রথমে তার পক্ষে রায় আসেনি। পরে একটি আদালত শাস্তিকে অত্যধিক আখ্যা দিয়ে রায় উল্টে দেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার জাপানের সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায়ে শহর কর্তৃপক্ষের পক্ষে রায় দেন এবং আগের শাস্তি বহাল রাখেন।
আদালত বলেছে, চালকের আচরণ গণপরিবহন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ও সুষ্ঠু পরিচালনাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
ঘটনার বিবরণে আদালত জানায়, একদল পাঁচ যাত্রী বাসে উঠে চালককে ১ হাজার ১৫০ ইয়েন দেন। চালক তাদের ১৫০ ইয়েন কয়েন ফি বক্সে ফেলতে বলেন এবং ১ হাজার ইয়েনের নোট হাতে নিলেও সঠিকভাবে জমা দেননি। ক্যামেরায় ধরা পড়ার পরও তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন।
আদালতের রায়ে আরও জানানো হয়, চালককে এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে ছিল যাত্রী না থাকা অবস্থায় ই-সিগারেট খাওয়া।
কিয়োতো সিটির গণপরিবহন ব্যুরোর কর্মকর্তা শিনিচি হিরাই এএফপিকে বলেন, বাসচালকরা একাকী কাজ করেন এবং সরকারি অর্থ সংগ্রহ করেন। এই বিষয়ে তহবিল আত্মসাতের ঘটনাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। যদি আমাদের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হতো, তাহলে সংস্থার মধ্যে অবহেলা তৈরি হতে পারত এবং এটি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারত।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শহর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।