সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচন ৩ মে

সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং-এর প্রথম নির্বাচন হবে এটি। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, জনগণ আবারও ক্ষমতায় ফেরাবে বর্তমান শাসক দল পিপলস অ্যাকশন পার্টিকে (পিএপি)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৫৯ সালে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসছে পিএপি।

২০২০ সালের শেষ নির্বাচনে বিরোধী ওয়ার্কার্স পার্টি ১০টি আসনে জয় পেয়েছিল। ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বিরোধীদের এটি ছিল সবচেয়ে বড় সাফল্য। এইবার মোট ৯৭টি আসনে ভোট হবে।

২০২০ সালে ৯৩টি আসনের মধ্যে পিএপি ৮৩টি আসনে জয় পেয়েছিল। তবে দলটি এ বছর আরও শক্তিশালী জয়ের আশায় রয়েছে। কারণ গতবারের ফলাফল অনেকেই পিএপির জন্য ধাক্কা হিসেবে দেখেছিলেন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্চে ইউগভ-এর এক জরিপে অংশ নেওয়া ১,৮৪৫ জন সিঙ্গাপুরবাসীর মধ্যে ৪৪ শতাংশ জানিয়েছেন তারা ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাকে ভোট দেবেন। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ শাসক দলকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন এবং ১৫ শতাংশ ভোট দেবেন প্রধান বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টিকে।

এই নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং-এর জন্য প্রথম বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সিঙ্গাপুরের দীর্ঘদিনের নেতা লি সিয়েন লুং-এর স্থলাভিষিক্ত হয়ে। লি সিয়েন টানা ২০ বছর দেশ পরিচালনা করেন।

মাত্র নয়দিনের নির্বাচনি প্রচারণায় খরচের ঊর্ধ্বগতি, আবাসন চাহিদা, কর্মসংস্থান এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা-এই সব বিষয়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে সিঙ্গাপুরে। তারা সকলেই পিএপি’র প্রার্থী ছিলেন।

প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লি সিয়েন লুং-এর বাবা লি কুয়ান ইউ। তিনি আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত এবং ২৫ বছর দেশ পরিচালনা করেন।