পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সহিংসতা থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে চলমান সহিংসতা রোধে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জানান, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আদালত নিশ্চুপ থাকতে পারে না’। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আদালত দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিজি পর্যায়ের কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে এবং ১৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন ভিন্ন কথা। 

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নামে মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের গুলিতে একাধিক জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সামশেরগঞ্জের এক দোকানী বলেন, ‘আমার মিষ্টির দোকান লুট হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে এসেছি।’ স্থানীয় নারীরা কেঁদে কেঁদে বলছেন, আমাদের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন কী খাব বুঝতে পারছি না।

স্থানীয়রা বিএসএফ সদস্যদের কাছে ‘আমাদের বাঁচান’ বলে কাতর অনুরোধ জানাচ্ছেন। অনেকেই সরাসরি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলেছেন। জাফরাবাদে এক বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতদের বিরুদ্ধে। 

এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএসএফের রুট মার্চ ও রাজ্য পুলিশের তৎপরতা চলছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া এখানে শান্তি ফিরবে না’।