তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রচারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই মহড়া চালানো হয়েছে। তাইওয়ান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনকে সমস্যা সৃষ্টিকারী বলে অভিহিত করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে চীন। দেশটি প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপটির উপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল পরিচালনা করেছে।একটি সকালে এবং একটি বিকেলে।যার মধ্যে ৫৪টি চীনা যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন তাইওয়ানের কাছে উড়েছে।
তারা জানিয়েছে, চীনা বিমানগুলো তাইওয়ানের উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পূর্ব আকাশসীমায় উড়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান ও নৌবাহিনী তাদের পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত ছিল।
এর মধ্যে ৪২টি বিমান তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা, যা দুই পক্ষের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বাফার জোন হিসেবে বিবেচিত, অতিক্রম করেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যদি লাই প্রশাসন উসকানি দেয় এবং আগুন নিয়ে খেলে, তবে এটি শুধু তাদের নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে।
তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল বলেছে, বেইজিং দ্বীপটিকে সামরিকভাবে হুমকি দিতে অব্যাহত রেখেছে, যা তাইওয়ান প্রণালির উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করছে।
কাউন্সিল চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে অভিহিত করে মিত্র দেশগুলোকে চীনের সামরিক সম্প্রসারণ থামাতে আহ্বান জানিয়েছে।
তাইওয়ানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, চীন তাইওয়ানের কাছে মহড়া স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে, গড়ে প্রতি ৭-১০ দিনে এমন টহল পরিচালনা করছে।