ভারতের আসাম রাজ্যে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের সীমান্তে নিয়ে গিয়ে পুশব্যাক শুরু করেছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, আসাম পুলিশ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে একজন নারীসহ পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে এবং তাদের সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিয়েছে। দুদু মিয়া চাকদার, আনোয়ার হোসেন, ইমরান হাসান, মো. মাহাবুব, নাহার বেগম। গুড জব টিম! এর আগে ২৮ নভেম্বর, আসাম পুলিশ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে সাতির খাতুন নামে একজন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে এবং তাকে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, যেকোনও অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে বাহিনী ২৪ ঘণ্টা সতর্ক রয়েছে। ১৯ নভেম্বর, আসাম পুলিশ শ্রীভূমি জেলায় ৯ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করে এবং তাদের সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে, ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় তেলিয়ামুরাতে ত্রিপুরার গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে নারী ও নাবালক রয়েছে।
অনুপ্রবেশকারীরা প্রাথমিক তদন্তে পুলিশকে জানিয়েছে, তারা ভারতীয় দালালদের সাহায্যে কার্বুক বা শিলাছড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ত্রিপুরার গোমতী জেলায় প্রবেশ করেছিল। তারা তেলিয়ামুরা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর ট্রেনের টিকিট কিনে ডেমু ট্রেনে আসামে যাওয়ার ইচ্ছা করেছিল। তবে, জিআরপি ও বিএসএফ-এর সতর্ক পদক্ষেপ তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে বাধা দেয়।
এরা হলেন আব্দুল আজিজ উল্লাহ (২২), আজিজুল হক (২৫), ওবায়দুল উল্লাহ (১৯), জামিলা খাতুন (৫), খুনশুন (১৮), কোহিনুর আক্তার (২২), সাগরিকা ইয়াসমিন (২০), সাতরাই ইয়াসমিন (৬ মাস), নুরু, সিদ্দিক (৫), মোহান্তি ইয়াসমিন (২) ও মোহাম্মদ সিদ্দিক (৬০)। তারা জেরায় বলেছে, তারা কারখানায় কাজ করার জন্য হায়দারাবাদে যেতে চাইছিল।
অন্যদিকে, আসামের গৌহাটির পানবাজার পুলিশ ২২ নভেম্বর গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন আরমান মালিক ও সমরিতা বেগম। সূত্রের দাবি, দুজনেই মূলত জম্মু ও কাশ্মীর যাওয়ার উদ্দেশে ট্রেনে করে বাংলাদেশ থেকে গুয়াহাটি এসেছিলেন।