উ. কোরিয়ায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় ১৪ লাখ তরুণ

উত্তর কোরিয়ায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বা ফিরে আসতে আবেদন করেছেন দেশটির ১৪ লাখ তরুণ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক ড্রোন আক্রমণের অভিযোগ এনে চলতি সপ্তাহে এই আবেদন করেছেন তারা। আবেদনকারীরা বলছেন, এই উস্কানি কোরীয় অঞ্চলে যুদ্ধের মতো উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দেশটির কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

কেসিএনএ’র রিপোর্টে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও যুব লীগের কর্মকর্তাসহ যেসব তরুণরা সেনাবাহিনীতে যোগদানের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন, তারা ‘বিপ্লবের অস্ত্র দিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করার পবিত্র যুদ্ধে’ লড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

কেসিএনএ’র প্রকাশিত ছবিগুলোতে তরুণদের একটি অজ্ঞাত স্থানে পিটিশনে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।

মাত্র দুই দিনের মধ্যে দেশটির কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে ১০ লাখেরও বেশি তরুণ স্বেচ্ছায় তালিকাভুক্ত হওয়ার দাবিটি এমন সময়ে এসেছে যখন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে।

এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধিকে ঘিরে অতীতেও একই ধরনের দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।

গত বছর রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য উত্তরের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের করতে ৮ লাখ নাগরিক আবেদন করেছে।

২০১৭ সালে প্রায় ৩৫ লাখ নাগরিক দেশটির সেনাবাহিনীতে স্বেচ্ছায় যোগ দিতে বা ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দেশটির কর্মী, পার্টির সদস্য ও সেনাও ছিল।

রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়ার দাবিগুলো যাচাই করা খুবই কঠিন।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার ১০ লাখ ২৮ হাজার সক্রিয় এবং প্রায় ৬ লাখ সংরক্ষিত সেনা রয়েছে।

আইআইএসএস আরও বলেছে, তাদের ৫৭ লাখ সংরক্ষিত কর্মী/কৃষক রেড গার্ড রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক ইউনিট নিরস্ত্র।