বিহারে ‘ভারত বনধ’ কর্মসূচিতে শিশুদের বহনকারী স্কুলবাসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা

বিহারের গোপালগঞ্জে ‘ভারত বনধ’ বিক্ষোভ চলাকালে একদল লোক একটি স্কুলবাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশের সময়োচিত হস্তক্ষেপে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। বাসটিতে অনেক শিশু ছিল এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, দলিত সংরক্ষণ নিয়ে সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিবাদে ভারত বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বুধবার (২১ আগস্ট) এই ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

গোপালগঞ্জ পুলিশ ও জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং বাসটি নিরাপদে সরিয়ে নেয়। ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, হলুদ রঙের স্কুল বাসটি লাঠি হাতে থাকা জনতা ঘিরে রেখেছে। এক ব্যক্তি বাসের নিচে টায়ার জ্বালানোর চেষ্টা করছে। রাস্তায় আরও কয়েকটি জ্বলন্ত টায়ার পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কিছু মানুষ একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে দেয়। যেখানে এক নারী পেছনে বসে ছিলেন। পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হলেও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার স্বর্ণ প্রভাত জানান, ভারত বন্ধের কারণে শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে কয়েকজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান, আমি পুলিশ স্টেশনকে নির্দেশ দিয়েছি, যারা বাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে জেলে পাঠাতে।

যদিও শহরে সহিংসতার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে গোপালগঞ্জে ভারত বন্ধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু যানবাহন রাস্তায় চলাচল করছিল, তবে কিছু বিক্ষোভকারী জাতীয় সড়ক ২৭ এবং রেলপথে বিঘ্ন ঘটায়।

ভারত বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল কিছু দলিত সংগঠনের পক্ষ থেকে। যারা সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, এই রায়টি ইন্দিরা সাহনী মামলার ঐতিহাসিক রায়কে খর্ব করেছে। যা ভারতের সংরক্ষণের কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছিল।