ইমরান খানের গ্রেফতার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পিটিআই

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে আবারও রাজনৈতিক সংকটে পাকিস্তান। নির্বাচনের আগে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় শনিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত ঘোষণা করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদালত। তবে এ রায় তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশি। এটিকে সরকারের পূর্বপরিকল্পিত রায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইমরানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে জিও নিউজকে সাক্ষাৎকারে কুরেশি বলেছেন, ‘আদালতের এই রায় প্রত্যাখ্যান করছি। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত।’

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০ (১) অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিক ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে জানিয়ে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইমরান খানের বিচারের সময় এই মানদণ্ড বিবেচনা নেওয়া হয়েছি কিনা তা দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন: দোষী সাব্যস্তের পর ইমরান খান গ্রেফতার

সাক্ষাৎকারে কুরেশি বলেন, রায় ঘোষণার খবর যখন মাত্র টেলিভিশনের স্ক্রলে প্রচার হলো, ওই সময় জামার্ন পার্কে পুলিশ। ইমরান খানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তারা। পুলিশ রায়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্ক আগে থেকেই কী জানতো?

উল্লেখ্য, তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় শনিবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইমরান খান গ্রেফতার হন। লাহোরের নিজ বাসভবন জামান পার্ক থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার। ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যানকে। একইসঙ্গে আদালত ইমরান খানকে আরও ১ লাখ রুপি জরিমানাও করেছেন। গত মার্চে আরেকটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা।