ককটেলে ‘নিজের রক্ত মেশানোর’ দায়ে চাকরিচ্যুত জাপানি ওয়েট্রেস

ককটেল তৈরি করার সময় তাতে নিজের রক্ত মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক ওয়েট্রেসকে চাকরিচ্যুত করেছে জাপানের একটি ক্যাফে।

দেশটির হোকাইদোর সাপ্পোরোতে অবস্থিত মান্দাজি ক্যাফে জানিয়েছে, নিজের রক্ত মাখা ক্রেতাদের অ্যালকোহলিক পানীয় পরিবেশন করার কারণে এক ওয়েট্রেসকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

ওরিকাকু বা আসল ককটেল নামের পানীয়তে সাধারণত ফল ও বিভিন্ন রঙিন সিরাপ থাকে।

ক্যাফের পক্ষ থেকে ২ এপ্রিল এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ‘পার্ট-টাইম চাকরি সন্ত্রাসবাদের ভিন্ন রূপ এই কর্মকাণ্ড। এটি একেবারে অগ্রহণযোগ্য।’

ক্যাফের মালিক বলেছেন, পানীয় পানের সবগুলো গ্লাস পরিবর্তনের জন্য পুরো ক্যাফে এক দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।

ক্যাফেটির নাম ভাষান্তর করলে মোটামুটি দাঁড়ায় ‘সমস্যাগ্রস্ত শিশু কনসেপ্ট ক্যাফে’। সমস্যাগ্রস্ত শিশু ও অন্ধকার মেয়েরা ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করে বলে টুইটারে নিজের প্রচার তুলে ধরেছে ক্যাফেটি।

মাত্র ১৯ ডলারে যত ইচ্ছা পান করার সুযোগ ক্যাফেটির একটি বিশেষত্ব। টুইটারে রক্ত মেশানো ককটেল পরিবেশনের জন্য ক্যাফের মালিক ক্ষমা চেয়েও পোস্ট দিয়েছেন।

কনসেপ্ট ক্যাফের জাপান জনপ্রিয়। টোকিওতে বিখ্যাত আকিহাবারা ক্যাফেতে সাপের ক্যাফে, নিনজা থিমে বিনোদন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্যাফের উপস্থিতি রয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এমন রেস্তোরাঁগুলো সম্প্রতি ‘সুশি সন্ত্রাসবাদের’ মুখে পড়েছে। যেমন সুশি চেইন রেস্তোরাঁ সুশিরো। অনলাইনে অনেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্রেতারা সয়া সসের বোতল দিয়ে নিজেকে এবং অপরের খাবারকে দূষিত করা হচ্ছে।

এপ্রিলে পুলিশ দুই ক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পাত্র ব্যবহার না করে নিজেদের চপস্টিক দিয়ে সম্মিলিত খাবারের থালা থেকে নিজেদের চপস্টিক দিয়ে আদার আচার খাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অপরের রক্ত পান করা খুব বিপজ্জনক কাজ বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। জাপানি চিকিৎসক ডা. জেন্তো কিতাও বলেছেন, অপরের রক্ত পান করার পর সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বিরল। তবে এইচআইভি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস বি ও সিফিলিসের মতো রক্তের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। মুখে যদি কোনও ঘা থাকে তাহলে রক্ত সঞ্চালন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া খুব সহজ।

সূত্র: উইওন নিউজ