বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে দেশ দুটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রধান প্রশান্ত মহাসাগরে এক ইঞ্চিও ছাড় না দেওয়ার ঘোষণার পর চীন বলেছে, ওয়াশিংটন সেনাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, উভয় দেশই প্রযুক্তি ও মানবাধিকার থেকে শুরু করে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ আনছে।
নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীনের বিরুদ্ধে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ২৪টি চীনা কোম্পানিকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে নির্মাণ ও সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
হাওয়াইয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, বিশ্বে প্রভাবশালী হতে চীন নিজেদের সেনাবাহিনীকে আগ্রাসী মনোভাবের আধুনিকায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ইন্দো-প্রশান্ত এলাকার পরিস্থিতিকে চীনের বড় শক্তির লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বেইজিংয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কয়েকজন মার্কিন রাজনীতিক নির্বাচনের আগে নিজেদের স্বার্থগত কারণে সিনো-মার্কিন সামরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইছে বলে দাবি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাসিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উসকানি ও চাপে ভীত নয় চীন। যুক্তরাষ্ট্রকে তারা কোনও সমস্যা সৃষ্টি করতে দেবে না।