সন্তান জন্মদানের জন্য পর্যটন ভিসার ব্যবহারের প্রবণতা রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগ বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, যেসব বিদেশি নাগরিক শুধু সন্তানের আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য পর্যটন ভিসা ব্যবহার করতে চাইবেন, তাদের ভিসা আবেদন বাতিল করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনও ভিসা আবেদনকারী যদি শুধু সন্তানের মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য পর্যটন ভিসা ব্যবহার করতে চান, তাহলে তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। এটি বার্থ টুরিজম (জন্ম পর্যটন) নামে পরিচিত এবং আমাদের কনস্যুলার অফিসাররা এই ধরনের সব আবেদনই নামঞ্জুর করবেন।
It is unacceptable for foreign parents to use a U.S. tourist visa for the primary purpose of giving birth in the United States to obtain citizenship for the child, which also could result in American taxpayers paying the medical care costs. This is known as birth tourism and U.S.… pic.twitter.com/4f2Zfetp3V
— Travel - State Dept (@TravelGov) April 24, 2025
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি বাবা-মায়েরা শুধু সন্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য পর্যটন ভিসা ব্যবহার করবেন—এটা মেনে নেওয়া যায় না। এতে করে মার্কিন করদাতাদের টাকায় সেই সন্তানের চিকিৎসা খরচও বহন করা লাগতে পারে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক বিদেশি নাগরিক পর্যটন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সন্তান জন্মদান করে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ধরনের বার্থ টুরিজম যারা করবেন, তারা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বা ভ্রমণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি আরেকটি উপায়, যার মাধ্যমে আমরা মার্কিন করদাতা ও সম্প্রদায়কে সেবা ও সুরক্ষা দিচ্ছি।
অভিবাসন আইনকে শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তকে বিবেচনা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই বার্থ টুরিজম রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে চীন, রাশিয়া ও নাইজেরিয়ার নাগরিকদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। নতুন এই নীতির ফলে এসব দেশের নাগরিকদের ভিসা পাওয়া আরও কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, বৈধ উদ্দেশ্যে ভিসা প্রার্থীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তবে শুধু সন্তানের নাগরিকত্বের জন্য ভিসা চাইলে তা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হবে।