চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্ক বেড়ে ১৪৫ শতাংশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর আরও কঠোর শুল্ক আরোপ করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া এ সিদ্ধান্তে চীনা পণ্যে মোট শুল্কহার বেড়ে ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

একই সঙ্গে হোয়াইট হাউজের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক ডজন দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছে। তবে চীনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন করে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বছরের শুরুতে ফেন্টানিলের সরবরাহে চীনের ভূমিকার অভিযোগে আরোপিত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক।

এর ফলে চলতি বছরে ট্রাম্প প্রশাসন এককভাবে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলো, যা আগের প্রশাসনগুলোর আরোপিত শুল্কের সঙ্গেও যোগ হয়েছে।

তবে চীনা পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ নতুন এই শুল্কের আওতায় সব ধরনের পণ্য পড়ছে না। এর বাইরে রাখা হয়েছে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতব পণ্য এবং গাড়ি, যেগুলোর ওপর আলাদা ২৫ শতাংশ শুল্ক আগে থেকেই আরোপিত ছিল।

এছাড়া কপার, ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর, কাঠ এবং জ্বালানিপণ্যের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতও এই শুল্কহার থেকে আপাতত বাইরে রাখা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ সূত্রে জানা গেছে, এসব পণ্যের ওপর ভবিষ্যতে আলাদা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নতুন শুল্কনীতি চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিলেও পুরো শুল্ক কাঠামোটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভিন্ন হারে শুল্ক আরোপ করায় সামগ্রিক চিত্র বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখছেন। হোয়াইট হাউজ বলছে, ‘অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন’ বন্ধে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববাজারে এর প্রভাব কী হবে, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়ী মহলে এই নতুন শুল্ক আরোপ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।