মার্কিন সিনেটে ভাষণ দেবেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় আজ বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টায় সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের যৌথ সভায় তার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর এই ভাষণ ঘিরে বিক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে আমেরিকানরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
নেতানিয়াহুকে নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের মধ্যে গভীর বিভাজন দেখা দিয়েছে। তার আগমণকে কেন্দ্র করে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যেই নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানো হবে। বুধবারের ভাষণ নিয়ে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন ইসরায়েলি এই প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনবার এই জাতীয় ভাষণ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ যুদ্ধকালীন নেতা উইনস্টন চার্চিল।
বক্তৃতায় নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি ও মার্কিন প্রতিক্রিয়া সমন্বয়ের বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে গাজা যুদ্ধ একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি রয়েছে।
বক্তৃতায়, হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সমর্থন দেওয়ায় এবং সাম্প্রতিক পারমাণবিক অগ্রগতির জন্য ইরানের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
এ সময় রিপাবলিকানদের সঙ্গে দেশটির যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবেন নেতানিয়াহু। তবে বাইডেনের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টাও করবেন তিনি। কেননা, আগামী ছয় মাসের জন্য তাকে বাইডেনের ওপরই নির্ভর করতে হবে।
এছাড়া, তাকে অবশ্যই ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমর্থন পেতে হবে। কেননা, গাজায় ব্যাপক ফিলিস্তিনি বেসামরিক হতাহতের জন্য কমলাকে প্রায়ই ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
নেতানিয়াহুর ভাষণকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অধিকারকর্মীরা। ক্যাপিটল হিল ভবনের উচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে। বুধবার ওয়াশিংটনের কয়েক ডজন রাস্তাও বন্ধ রাখা হবে বলে জানা যায়।