টাইটান ট্র্যাজেডি: তদন্তের দাবি জানালেন হার্ডিংয়ের আত্মীয়রা

ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সাবমেরিন বিধ্বস্তে নিহত হামিশ হার্ডিংয়ের আত্মীয়রা এই দুর্ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বিধ্বস্ত সাবমেরিন টাইটানে থাকা পাঁচ আরোহীর একজন ছিলেন হার্ডিং। মৃত হার্ডিংয়ের দুই আত্মীয় বলেছেন, পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে রবিবার (১৮ জুন) পাঁচ আরোহীসহ হারিয়ে যায় সাবমেরিন ‘টাইটান’। যাত্রা শুরুর একঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই পানির ওপরে থাকা মূল জাহাজের সঙ্গে ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার মার্কিন কোস্টগার্ড জানায়, সাবমেরিনটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাঁচ আরোহী মারা গেছেন।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হার্ডিংয়ের আত্মীয় লুসি ম্যানিং ও লুসি কসনেট প্রশ্ন তুলেছেন, এই দুর্ঘটনার আগে কী কী নিরাপত্তা যাচাই করা হয়েছে।

কসনেট বলেন, এটি পুরোপুরি তদন্ত হওয়া উচিত। কেন এমনটি ঘটেছে, কী ভুল হয়েছে এবং কেন তারা বাঁচতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, হার্ডিংয়ের জন্মদিন আগামীকাল। তার বয়স হত ৫৯ বছর। আমি হয়ত তাকে একটি বার্তা পাঠাতাম বা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ফোন দিতাম।  

গত কয়েক দিনের কথা তুলে ধরে কসনেট বলেন, যখন আমি শব্দ পাওয়ার কথা খবরে পড়েছি তখন আশাবাদী হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়ত এটি টাইটান থেকে আসছে।

কসনেট বলেন, কিন্তু গতকাল সবচেয়ে খারাপ কথাই শুনতে হয়েছে। জানতে পারলাম তিনি বেঁচে নেই, তারা সবাই মারা গেছে।

হার্ডিং একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রিক। তিনি অ্যাকশন অ্যাভিয়েশনের মালিক। তার দখলে একাধিক গিনেজ বিশ্বরেকর্ড রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে এক ডুবে সমুদ্রের সবচেয়ে গভীর অংশে দীর্ঘ সময় অবস্থান করার রেকর্ড।