ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত ৭৮

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন বিমান হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হুথি নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

আল -মাসিরাহ টিভিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে জানানো হয়, সানার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা বনি আল-হারিথ জেলায় মার্কিন হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।

হুথি কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, রবিবার রাতে আমরান ও সাআদা প্রশাসনিক অঞ্চলে মার্কিন হামলায় অন্তত দুজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।

আল-মাসিরাহ টিভি থেকে পরবর্তী সময়ে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সাআদার একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে মার্কিন হামলায় অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন।

ওই কেন্দ্রে প্রায় শ খানেক মানুষকে আটকে রাখা হয়েছিল। তারা ইথিওপিয়া ও পার্শ্ববর্তী আফ্রিকান দেশ থেকে কাজের খোঁজে ইয়েমেন হয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চেয়েছিল।

অভিযোগ রয়েছে, হুথি বিদ্রোহীরা অভিবাসীদের সীমান্ত পার করিয়ে আনার মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে থাকে। তবে এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অভিবাসীরা দীর্ঘদিনের সংঘাত, আটক এবং নির্যাতনের ঝুঁকি বহন করেন।

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযানের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সর্বশেষ হামলাগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও স্বীকার করেছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকে ইয়েমেনে আট শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে। হুথি সূত্রমতে, চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।

মার্চের মাঝামাঝি শুরু হওয়া অভিযানে প্রায় প্রতিদিনই বোমাবর্ষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

মার্কিন সেনাবাহিনীর দাবি, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হামলা এবং ইসরায়েলের জন্য হুমকিতে পরিণত হওয়ায় হুথিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে হুথিরা বলছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের পালটা প্রতিশোধ হিসেবেই তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ পরিবহনে হামলা চালিয়েছে।

মার্কিন হামলা বৃদ্ধির পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে ইরান। পারমাণবিক চুক্তিতে ইরানকে বাগে আনতে বিভিন্ন দিকে চাপ তৈরি করছে মার্কিন প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে তেহরান সমর্থিত হুথিদের দমন করা হচ্ছে।