শান্তির জন্য ইউক্রেনকে সম্ভবত কিছু ভূখণ্ড ছাড়তে হবে: কিয়েভের মেয়র

রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, সম্ভাব্য একটা পরিস্থিতি হচ্ছে, কিছু ভূখণ্ডের দখল ছেড়ে দেওয়া। এটা মোটেও ন্যায্য নয়। তবে ক্ষণস্থায়ী শান্তির জন্য হলেও, এটা একটা সমাধান হতে পারে। শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হয়তো বেদনাদায়ক কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
তবে ইউক্রেনের মানুষ কোনওভাবেই রুশ দখলদারিত্ব মেনে নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বিবিসির সঙ্গে যখন তিনি এই কথা বলছেন, তার কয়েকঘণ্টা আগে কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় রাজধানীতে দীর্ঘদিন পরে এত ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ক্রেমলিন। হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন।

২০২২ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণ সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে রাশিয়ার দখলে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রয়েছে।

ওই সাক্ষাৎকারে ক্লিচকো বলেন, রাজধানীর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার কাঁধে।

ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখন কিয়েভের মেয়রও সেই তালিকায় নাম লেখালেন, যারা শান্তির জন্য ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিকল্পকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, শান্তি আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত করছেন জেলেনস্কি। কারণ তিনি ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না।

ইউক্রেন ও এর ইউরোপীয় মিত্ররা ইদানীং রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্কোন্নয়ন হলে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার খায়েশই পূর্ণ হবে।