সৌদি আরবকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তির প্রস্তাব দেবেন ট্রাম্প

সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যমানের অস্ত্র বিক্রয় চুক্তি ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসে দেশটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সময় এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছয় কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে আরও মজবুত হয়েছে। আমাদের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা ধরে রাখা দুদেশের অংশীদারত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ও সৌদি আরবের সঙ্গে একটি বৃহৎ চুক্তির আওতায় প্রতিরক্ষার বিষয়টি সম্পন্ন করতে চাইলেও সেটিতে সফলতা আসেনি। বাইডেন প্রশাসনের প্রস্তাবে উন্নত মার্কিন অস্ত্রের বিনিময়ে সৌদি আরবকে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়—চীন থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করতে হবে এবং চীনা বিনিয়োগে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। ট্রাম্পের প্রস্তাবে এমন কোনও শর্ত রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

হোয়াইট হাউজ এবং সৌদি আরব সরকারের যোগাযোগ সংক্রান্ত কার্যালয় চুক্তির বিষয়ে বক্তব্য জানতে রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। ২০১৭ সালেও ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র বিক্রয় চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল।

তবে ইসরায়েলকে সবসময় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় উন্নততর মার্কিন অস্ত্র দেওয়া হয়, যাকে ‘কোয়ালিটেটিভ মিলিটারি এজ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ফলে, ইসরায়েল ইতোমধ্যে নয় বছর ধরে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছে এবং একাধিক স্কোয়াড্রন গঠন করেছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক যেকোনও বড় আকারের অস্ত্রচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আগে কংগ্রেসের কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠাতে হয়।