খেলতে গিয়ে ভুলক্রমে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার গিলে ফেলে ১১ বছরের এক শিশু। চলতি মাসের শুরুর দিকের এই ঘটনার সমাপ্তি হয়ে শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে অন্ত্র থেকে ধাতব খণ্ডটি অপসারণের মধ্য দিয়ে। চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের পূর্বাঞ্চলে বাবা-মার সঙ্গে শিশুটি বাস করে। তার পারিবারিক নাম চিয়ান। বাড়িতে খেলার সময় ভুলক্রমে একটি সোনার খণ্ড গিলে ফেললেও প্রাথমিকভাবে কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। কেবল পেটের কাছটা কিছুটা ফুলে ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গুরুতর সমস্যা দেখা না দিলেও সতর্কতার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হন শিশুটির মা-বাবা। সেখানে এক্সরে করিয়ে দেখা যায়, তার অন্ত্রে ধাতব খণ্ডটি আটকে আছে।
প্রাথমিকভাবে ওষুধ ব্যবহার করে মলের মাধ্যমে ধাতুটি বের করে আনা যায় কিনা, সে চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। তবে দু-দিন পার হয়ে গেলেও সমাধান না হওয়ায় শল্য চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কাটাকুটি সীমিত রাখার জন্য এন্ডোস্কোপিক পদ্ধতিতে স্বর্ণের বার অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই, অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করতে সমর্থ হন তারা।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটি স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করতে শুরু করে। চিকিৎসা পরবর্তী কোনও জটিলতা সৃষ্টি না হওয়ায় তাকে বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুদের ধাতব খণ্ড গিলে ফেলার ঘটনা বিশ্বের মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। ২০২১ সালে ভিয়েতনামে নয় বছরের এক শিশু ধাতব পেরেক ও চুম্বক গিলে ফেলে অন্ত্রের মারাত্মক জটিলতার শিকার হয়। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাকে রক্ষা করা হয়।
২০২৩ সালে কিউবায় ১৭ মাসের এক শিশুর শ্বাসনালিতে ক্লিপের স্প্রিং আটকে গেলে জরুরি অস্ত্রোপচারে তাকে বাঁচানো হয়। একই বছর জেরুজালেমে আড়াই বছরের শিশু স্বর্ণের আংটি গিলে ফেলে। ওই ঘটনায় এন্ডোস্কোপের মাধ্যমে আংটি সফলভাবে বের করা হয়।