ইকুয়েডরে মোরগ লড়াই চলাকালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১২, আটক ৪

ইকুয়েডরে সাম্প্রতিক এক বন্দুক হামলায় জড়িত চার ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। একটি মোরগ লড়াই প্রদর্শনী চলাকালে সংঘটিত ওই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

প্রত্যন্ত লা ভ্যালেন্সিয়া এলাকায় হামলা চালিয়েছিলেন বন্দুকধারীরা। হামলার পরদিন, শুক্রবার, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় মানাবি প্রদেশে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। সে সময় আস্তানা থেকে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর নকল পোশাক এবং অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুরো অপরাধের পূর্ণ তদন্তের আদেশ দিয়েছে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মোরগ লড়াই প্রদর্শনীর মাঝে একদল বন্দুকধারী আচমকা উপস্থিত হয়ে উপর্যুপরি গুলি চালানো শুরু করে। সে সময় আতঙ্কিত দর্শকরা প্রাণ রক্ষার্থে ছোটাছুটি শুরু করেন, কেউ কেউ মাটিতে শুয়ে পড়েন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভুয়া সামরিক সাজে থাকা বন্দুকধারীরা আসলে স্থানীয় অপরাধচক্রের সদস্য। তাদের প্রতিপক্ষ দলের কয়েকজন সদস্য ওই প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকার খবর পেয়ে তারা হামলা চালিয়েছে।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া বলেছেন, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ কোকেন তাদের দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পাচার করা হয়।

ইকুয়েডেরের দুই প্রতিবেশী হচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ কোকেক উৎপাদনকারী দেশ- কলম্বিয়া আর পেরু। এই দুই দেশ থেকে ইকুয়েডরকে ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মাদক পাচারের প্রধান রুটের দখল নেওয়ার জন্য লাতিন আমেরিকার দেশটিতে প্রায় ২০টি অপরাধচক্র সক্রিয় রয়েছে।

চলতি বছরের এক জানুয়ারি মাসেই ৭৮১ জন মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, অধিকাংশ হত্যাই মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত।