৮০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আনিসা

উদ্যোক্তা চেতনা ও অবিচল সংকল্পের এক সত্যিকারের অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ব্রিটিশ বাংলাদেশি আনিসা খান ব্রিটেনের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক রিয়েলিটি শো ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’-এর ফাইনালে পৌঁছেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮০ হাজারের বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে শেষ দুইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা হিসেবে আনিসার এই সাফল্য বাংলাদেশি ক‌মিউনি‌টিতে সাড়া ফেলেছে।

আনিসার বাবা ইয়ওয়ার খানও একজন উদ্যোক্তা। ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’-এর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো কোনও ছোটখাটো কৃতিত্ব নয়, এর জন্য প্রয়োজন হয় আলোচনা, বিপণন, দলবদ্ধভাবে কাজ করা এবং চরম চাপের মধ্যে কাজ করার ব্যতিক্রমী দক্ষতা। শোয়ের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোতে আনিসা ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়িক নীতির গভীর জ্ঞান, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং সাফল্যের জন্য এক অবিচল প্রচেষ্টা প্রদর্শন করেছেন।

আনিসার পুরো সিরিজে অসংখ্য কঠিন কাজ এবং বোর্ডরুমের চুলচেরা বিশ্লেষণ পেরিয়ে শেষ দুইয়ে স্থান করে নিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক প্রতিযোগী এবং প্রতিভাবান আবেদনকারীর মধ্যে নিজের স্বাতন্ত্র্য প্রমাণ করার ক্ষমতা ব্যবসায়িক জগতে একজন ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে তার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

আনিসার এই যাত্রা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও সাফল্যের ওপর আলোকপাত করে। এত উচ্চ-প্রোফাইল একটি শোয়ের ফাইনালে তার উপস্থিতি কেবল তার ব্যক্তিগত অর্জনই নয়, বরং অর্থনীতি ও উদ্যোক্তা ক্ষেত্রে ব্রিটিশ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের অবদান ও গতিশীলতার ওপরও ইতিবাচক আলো ফেলে।

লর্ড শুগারের পরবর্তী ব্যবসায়িক অংশীদার হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আনিসা খানের গল্প ইতোমধ্যেই অনুপ্রেরণা জাগা‌নিয়া সাফল্য।