যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানরত আফগান ও ক্যামেরুনিয়ানদের সুরক্ষা সুবিধা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এ কথা বলেছেন। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর মার্কিন নীতিমালার আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সাময়িক সুরক্ষা মর্যাদা (টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস বা টিপিএস) সুবিধা হারাবেন ১৪ হাজার ৬০০ আফগান। সামনের মাসে তাদের সুবিধা বাতিল করা হবে। আর সাত হাজার ৯০০ ক্যামেরুনিয়ান অভিবাসীর মর্যাদা বাতিল হবে জুন মাসে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের রেকর্ড সংখ্যায় বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই কথা রাখতেই তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিবাসীদের সাময়িক আইনি সুরক্ষার সুযোগ সংকুচিত করেছেন। ফলে বিতাড়নের ঝুঁকিতে পড়া মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই ট্রাম্পের। আর এখানেও সুযোগ পেলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একহাত দেখে নিতে ছাড়েন না। ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেনের আমলে অবৈধ অভিবাসী গ্রহণের মাত্রা আইনি সীমা অতিক্রম করেছিল।
টিপিএস কর্মসূচির আওতায় একজন অভিবাসী ছয় থেকে ১৮ মাস যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে পারেন। এই মেয়াদ আবার নবায়ন করতে পারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। টিপিএসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীরা বিতাড়নের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকেন এবং কাজ করার অনুমতি পান।
উল্লেখ্য, সাধারণত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সশস্ত্র সংঘাত বা অন্য কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির শিকার দেশের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের টিপিএস সুবিধা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকললিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তান ও ক্যামেরুনের বর্তমান পরিস্থিতিতে টিপিএস সুবিধা নবায়নের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম।
প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ট্রাম্প। সেবারও অধিকাংশ মানুষের টিপিএস সুবিধা বাতিলের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে আদালতের হস্তক্ষেপে সেবার সফল হতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।