কূটনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকবছর ধরে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে মস্কোর দ্বন্দ্ব তুঙ্গে পৌঁছেছিল। এরমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের কাজকর্ম স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চলছে। তার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তুরস্কে বৈঠক করবেন দুদেশের কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত নতুন রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্ডার ডারচিয়েভ এবং উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোনাটা কোলটার।

মস্কো ও ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা। গত কয়েক বছরে পারস্পরিক অভিযোগ, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এবং কূটনৈতিক সম্পত্তি জব্দের মতো একাধিক ঘটনায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্ক জটিল আকার ধারণ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, এবারের আলোচনার অগ্রাধিকার তালিকায় ইউক্রেন ইস্যু নেই। এবারের আলোচনা কেবল আমাদের দূতাবাসের কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা নয়। সেই আলোচনা তখনই সম্ভব, যখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিগত বছরগুলোতে ওয়াশিংটন ও মস্কো উভয়েই অভিযোগ করেছে, আমন্ত্রিত দেশে কুটনৈতিক স্বীকৃতি পাওয়া এবং দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে।

রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের কূটনীতিকদের বেতন পরিশোধ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে, মার্কিন কূটনীতিকরা বলছেন, রাশিয়ায় তাদের চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।

উভয় পক্ষই ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেছে।

বিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পত্তির ইস্যুও রয়েছে।

রাশিয়ার ছয়টি সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এগুলো হচ্ছে- নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে কিলেনওয়ার্থ এস্টেট, মেরিল্যান্ডের পাইওনিয়ার পয়েন্ট ডাচা, সান ফ্রান্সিসকো ও সিয়াটলে অবস্থিত রুশ কনস্যুলেট এবং ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে রাশিয়ার বাণিজ্য মিশন।