ট্রাম্পের নজর এবার ওষুধশিল্পে, শিগগিরই আসছে ব্যাপক শুল্ক

শিগগিরই ওষুধশিল্পে শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওষুধের উৎপাদন মার্কিন মুলুকে ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকো এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন শুল্কের ধাক্কা থেকে প্রাথমিকভাবে বেঁচে গেলেও আর ছাড় দেবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটি আয়োজিত এক নৈশভোজে ভাষণ প্রদানকালে তিনি বলেন, শিগগিরই ওষুধশিল্পের পণ্য আমদানিতে বড় আকারের শুল্ক আরোপ করা হবে। সেটা হলে, সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চীন ও অন্যান্য দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের উৎপাদনের উপকরণ সরিয়ে আনবে। কারণ দিনশেষে, তাদের সিংহভাগ দ্রব্যই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয়।

গতকালের বক্তব্যে ওষুধের ওপর শুল্ক নিয়ে আর বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) মতে, বর্তমানে বেশিরভাগ সক্রিয় ওষুধ উপাদানের উৎপাদন চীনসহ অন্যান্য দেশে চলে গেছে।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর ১০ শতাংশ সাধারণ শুল্ক ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এছাড়া, বিভিন্ন দেশে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কের ভিত্তিতে দেদারসে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সেই ধাক্কা থেকে শত্রু-মিত্র কেউ রেহাই পায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর সর্বোচ্চ ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এদিকে, এই শুল্কের খেলার শেষ দেখার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং।

ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন মহলে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। তার আগ্রাসী নীতিতে জনমনে অসন্তুষ্টি তৈরি হলে তার ফায়দা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে ডেমোক্র্যাটরা। এজন্য তারা পাখির চোখ করছে সামনের বছর মধ্যবর্তী নির্বাচনকে।

এদিকে, রিপাবলিকানদের মধ্যেও ট্রাম্পের কাজকর্মে উশখুশ শুরু হয়ে গেছে। তাদের আশ্বস্ত করতে এবং নিজের অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা প্রচার করতে উপস্থিতদের উদ্দেশে গতকাল বক্তব্য রাখেন তিনি। আগ্রাসী শুল্ক নীতি জারির পেছনে তার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্যে পুনর্বিন্যাস এবং মার্কিন মুলুকে বিনিয়োগ ও কারখানা ফিরিয়ে আনা।

ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কারখানা খুলতে আসছে।