মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিতে উদ্বেগে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মাল্টাচাষিরা। চাষিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বলা হয়, বাড়তি শুল্কের কারণে চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত ৩৫ হাজার মানুষের চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চাষিদের সংগঠন সিজিএ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন শুল্কনীতির কারণে প্রতি কার্টন মাল্টা রফতানিতে সাড়ে চার মার্কিন ডলারের বেশি খরচ হবে।
স্পেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাল্টা রফতানিকারক দেশ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই রফতানির পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে, যার বার্ষিক আয় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
গত ২ এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, মার্কিন আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো আছে, এমন সব দেশে শুল্কের মাত্রা বৃদ্ধি করেছেন। ৩১ শতাংশ শুল্কের বোঝা নিয়ে সেই তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সিজিএ প্রধান ভ্যান ডের মারওয়ে বলেছেন, শুল্কের পরিমাণ ও তাৎক্ষণিক প্রকৃতির কারণে এর প্রভাবে মাল্টা চাষের ওপর নির্ভরশীল শহরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ওই লোকালয়গুলোতে বেকারত্বের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, এমনকি অর্থনীতিতে ধস নামতে পারে। ভুলে গেলে চলবে না যে মাল্টা রফতানির সঙ্গে মোট ৩৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত।
চলতি সপ্তাহেই মার্কিন বাজারের জন্য মাল্টা প্যাকিং শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষকরা। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন সরকার অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মাল্টার ওপর থেকে শুল্ক হ্রাস বা অব্যাহতির ব্যবস্থা করে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক বা অনুরূপ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতির এই দেশ। বরং, তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ছাড় বা কোটা সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করবে।