নতুন ঘোষিত মার্কিন শুল্ক নীতি স্থগিতের কথা আপাতত বিবেচনায় নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরায়েলের ওপর থেকেও শুল্ক প্রত্যাহার বা হ্রাসের বিষয়ে সরাসরি কোনও উত্তর দেননি তিনি। সোমবার (৭ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা উঠে আসে। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিশ্বব্যাপী আরোপিত চড়া শুল্ক স্থগিতের সম্ভাবনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ওই বিষয়ে কিছু ভাবছি না।
আগের বাক্যের রেশ ধরে তিনি আরও বলেন, (শুল্ক ঘোষণার পর) অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাদের সবার সঙ্গে ন্যায্য চুক্তি হবে। এটা ঠিক, কিছু দেশ উল্লেখযোগ্য হারে শুল্ক দিতে বাধ্য থাকবে, কিন্তু চুক্তিগুলো হবে ন্যায়সংগত।
বিশ্বের প্রায় সব দেশই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে আগ্রহী বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। সে উদ্দেশেই হোয়াইট হাউজ গিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। মার্কিন মুলুকে ইসরায়েলি পণ্য আমদানিতেও ১৭ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ইসরায়েলের ওপর ঘোষিত শুল্ক প্রত্যাহার বা হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, (শুল্ক হ্রাস) হতেও পারে, নাও পারে। আমরা বাণিজ্যচুক্তির সম্পূর্ণ নতুন এক দিগন্ত নিয়ে কাজ করছি। তবে এটা ভুলে গেলে কিন্তু হবে না, ইসরায়েলকে আমরা অনেক সহায়তা দিই। বছরে চারশ কোটি ডলার কিন্তু ছোট অঙ্ক নয়।
অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে ফেলব।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি পণ্যের ওপর বিশ্বব্যাপী দেদারসে শুল্ক ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যে কোনও পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আছে, এমন সব দেশের ওপর শুল্কের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করেছেন তিনি।
দিনটিকে তিনি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যা দিলেও, অধিকাংশ দেশ ওই দিন থেকেই অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কে আছে। প্রথম মেয়াদে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে ভুগিয়েছিলেন পুরো বিশ্বকে। এবারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক খেলায় সাধারণ মানুষ কতটুকু নাজেহাল হয়, সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।