আগ্রাসনকারী সবসময় ব্যর্থ হয়: তাইওয়ান

চীনকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার ইঙ্গিত দিলো তাইওয়ান। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস দেখিয়েছে যে আগ্রাসন ও দখলদারি মনোভাব কখনও সফল হয় না। তাইওয়ানের দখল নেওয়া সংক্রান্ত বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এ কথা বলেছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী পূরণ হতে যাচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষী, আগ্রাসন ও দখলদারি প্রচেষ্টা কখনও সফল হয় না। কিন্তু তারপরও চীনা সামরিক বাহিনী সম্প্রতি একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। এভাবে তারা নিজেদেরই পরাজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

তাইওয়ানের অভিযোগ, ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে চীন। তারা এখন বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের বৃহত্তম দুষ্কৃতকারী।

বৃহস্পতিবার চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জলে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করছে তাইওয়ান। আজ নয়তো কাল, তাদের অবশ্যই চীন দখল করে নেবে।

গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে বরাবরই নিজের এলাকা দাবি করে আসছে বেইজিং। এদিকে, তাইপেইর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আঞ্চলিক সীমানায় সামরিক কার্যক্রমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে চীন। সেই ধারাবাহিকতাতেই রুটিন মহড়ার নামে চলতি সপ্তাহেও তাইওয়ানের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলে মহড়া চালিয়েছে তারা।

বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখান করে তাইপে বলে আসছে, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অধিকার রয়েছে কেবল সেখানের জনগণের।

১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর দুবছর আগে চীনে সামরিক আগ্রাসন চালায় জাপান। ইতিহাসের এই ঘটনা চীন ও তাইওয়ান উভয় পাশেই খুবই স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে রয়েছে। সে সময় চীনের পরিচয় ছিল রিপাবলিক অব চায়না। এই সরকারই পরে মাও সে তুংয়ের কম্যুনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে তাইওয়ান গিয়ে আশ্রয় নেয়।