নামিবিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট স্যাম নুজোমা শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেহত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। রবিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নামিবিয়া প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি নড়ে গেছে। আমাদের সম্মানিত নেতা ড. নুজোমা শুধু স্বাধীনতার পথ প্রদর্শন করেননি, তিনি আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে এবং পূর্বপুরুষদের বিশাল ভূমির প্রকৃত মালিক হতে অনুপ্রাণিত করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নুজোমা।
১৯৯০ সালের ২১ মার্চ নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন নুজোমা। ২০০৫ সালে সংসদে একটি আইন পাসের মাধ্যমে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'নামিবীয় জাতির জনক' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তবে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সমালোচনাও কম ছিল না। তিনি সমালোচনামূলক সংবাদমাধ্যমের প্রতি অসহিষ্ণু ছিলেন, সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং ১৯৯৮ সালে সংবিধান সংশোধন করে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নেন।
জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন নুজোমা। মুগাবের শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জমি দখলের নীতিকে সমর্থন করলেও নিজ দেশে তিনি ভিন্ন নীতি অনুসরণ করেন।
নুজোমার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তিনি বলেন, নুজোমার নেতৃত্বেই নামিবিয়া স্বাধীনতা এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা এই বন্ধুত্ব বজায় রাখব।
নুজোমার মৃত্যুতে বিবৃতি দিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশন। সংস্থাটির প্রধান মুসা ফাকি মাহামাত বলেছেন, নুজোমা ছিলেন আফ্রিকার অন্যতম বীর বিপ্লবী নেতা ও অসীম সাহসিকতার প্রতীক।