ট্রাম্প-সিসির ফোনালাপে গাজা ইস্যু

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরও দৃঢ় করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুই নেতার মধ্যে ফোনে এসব বিষয়ে কথা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। তবে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে জর্ডান ও মিসরে জায়গা দেওয়া সংক্রান্ত ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতে কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই প্রেসিডেন্ট। এছাড়া, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ট্রাম্প শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলেও নিজের আস্থা প্রকাশ করেছেন সিসি।

গাজায় যুদ্ধবিরতি তিন ধাপে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে।প্রথম দুই ধাপ পুরোপুরি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে দুই নেতাই একমত হয়েছেন বলে কায়রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তাও তাদের আলোচনায় উঠে আসে।

তবে কোনও বিবৃতিতেই ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসনের বিষয়ে একটি শব্দও উল্লেখ করা হয়নি। ট্রাম্পের প্রস্তাবকে জাতিগত নিধনের সমতুল্য বলে নিন্দা সমালোচনা করেছেন বিশ্লেষকরা।

ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত ট্রাম্পের প্রস্তাবকে বুধবার 'অন্যায্য পদক্ষেপ' বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সিসি। জবাবে মিসর ও জর্ডানে মার্কিন সহায়তার প্রতি ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, আমরা তাদের জন্য অনেক কিছু করেছি। তাই এটি তাদের করতে হবে।

এদিকে, কায়রোতে আয়োজিত আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকেও ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তারা বলেছেন, এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে, সংঘাত ছড়িয়ে দেবে এবং শান্তির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য সশরীরে আলোচনা করতে ট্রাম্পকে যতদ্রুত সম্ভব মিসর সফরের আহ্বান জানিয়েছেন সিসি। এছাড়া, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সুসংহত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।