ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার স্বাস্থ্যখাত পুনর্গঠনে আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে প্রায় এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রাথমিক বিশ্লেষণে এই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনে ডব্লিউএইচও-এর প্রতিনিধি রিক পীপারকর্ন সাংবাদিকদের বলেছেন, স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনে ব্যাপক অর্থসহায়তা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা, প্রথম দেড় বছরে তিনশ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় হবে। আর সম্পূর্ণ পুনর্গঠনে পাঁচ থেকে সাত বছর লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে মোট ব্যয় হাজার কোটি ডলার হতে পারে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তাই, ত্রাণ চাহিদার পরিমাণ জানার জন্য চলছে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ।
পীপারকর্ন বলেছেন, সবাই জানেন যে, গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। জীবদ্দশায় আমি কোথাও এত ভয়াবহতা দেখিনি।
এর আগে ডব্লিউএইচও প্রধান তেদরোস আধানোম ঘেব্রেইসাস বলেছিলেন, গাজা অর্ধেকেরও কম হাসপাতাল কার্যকর রয়েছে।
বুধবার মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হওয়াকে তিনি ‘সেরা খবর’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এই চুক্তি মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে রক্তাক্ত ইতিহাসের অবসান ঘটার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির খবরটি আমরা অত্যন্ত স্বস্তির সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে দুঃখের বিষয় হলো, চুক্তি সম্পন্ন হতে অনেক সময় লেগেছে। এই দীর্ঘ সময়ে হাজার হাজার মানুষ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে এখনও চুক্তি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন তেদরোস। আগেও অনেকবার শান্তির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, চুক্তিটি এখনও কার্যকর হয়নি।
রবিবার থেকে চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে উভয় পক্ষকে আর দেরি না করার আহ্বান জানিয়ে তেদরোস বলেছেন, উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে এটি এখনই কার্যকর হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, শান্তি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সমাধান। তাই আরোগ্য প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত। এটি সকলের মঙ্গলের জন্য প্রয়োজন।
পীপারকর্ন বলেছেন, গাজায় সমর্থন দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য সবসময় প্রস্তুত ডব্লিউএইচও। তবে তাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে গাজার ভেতর ত্রাণ বিতরণে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বাধাগুলো দূর করা প্রয়োজন।