ব্রিটেনকে ‘এআই’ পরাশক্তিতে পরিণত করতে চান স্টারমার

যুক্তরাজ্যকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পরাশক্তিতে পরিণত করতে চান দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এই লক্ষ্য অর্জনে উদ্ভাবন সহায়ক বিধিমালা প্রণয়ন, গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উন্মুক্তকরণ ও ডাটা সেন্টারের জন্য অবকাঠামো তৈরির অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। এআই প্রযুক্তিকে তিনি এর কেন্দ্রে রাখতে চান।

এআই প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে ব্রিটেনের বার্ষিক উৎপাদন দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী দশকব্যাপী এই প্রবৃদ্ধির আর্থিক মূল্য হতে পারে বছরে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।

এআই প্রযুক্তির বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্রিটেন ইতোমধ্যে ইউরোপের শীর্ষে রয়েছে বলে দাবি করে স্টারমার বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম এআই পরাশক্তি হবে ব্রিটেন। দেশের সবার জন্য এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে আমরা সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হব।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির কেন্দ্র হয়ে ওঠার জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। একই সময় প্রযুক্তিটির অপব্যবহার রোধে কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হচ্ছে।

বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্য। তবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, এআই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ ও প্যাটেন্টে ব্রিটেনের চেয়ে এগিয়ে আছে কেবল দুটি দেশ- যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

স্টারমার বলেছেন, ভেনচার ক্যাপিটালিস্ট ম্যাট ক্লিফোর্ডের এআই প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫০টি পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডাটা সেন্টার নির্মাণ সহজ করার জন্য পরিকল্পনা অনুমোদনের প্রক্রিয়া দ্রুত করা ও তাদের জন্য জ্বালানি সংযোগ দেওয়া। প্রথম ডাটা সেন্টার নির্মাণ করা হবে অক্সফোর্ডশায়ারের কুলহামে, যেখানে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক শক্তি কর্তৃপক্ষ অবস্থিত।

ব্রিটেনের অর্থনীতি তাদের আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন করতে পারছে না। ১৯৯৩ সালের পর সর্বোচ্চ কর আরোপ করা হয়েছে সর্বশেষ বাজেটে। ফলে অনেক ব্যবসায়ী উদ্যম হারিয়ে ফেলেছেন। গত মাসে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে যে, সর্বশেষ প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতিতে কোনও প্রবৃদ্ধি হয়নি।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে এআই প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারবে বলে আশাবাদী স্টারমার। তিনি বলেছেন, মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন করতে পারবে এই প্রযুক্তি। পরিকল্পনার জন্য দ্রুত পরামর্শ দেওয়া, ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তা করা এবং চিকিৎসক ও শিক্ষকদের ওপর থেকে প্রশাসনিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়তা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।