মিয়ানমার থেকে পারমাণবিক উপাদান পাচারের স্বীকারোক্তি জাপানি ব্যক্তির

মিয়ানমার থেকে পারমাণবিক উপাদান চোরাচালানের দায়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এক জাপানি অপরাধচক্রের নেতাকে আইনের আওতায় নিয়েছিল। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ওই ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন ৬০ বছর বয়সী জাপানি নাগরিক তাকেশি এবিসাওয়া। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র তৈরির উপযোগী প্লুটোনিয়াম, ইউরেনিয়ামসহ অন্যান্য পারমাণবিক উপাদান মিয়ানমার থেকে অন্যান্য দেশে চোরাচালানের চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন এবিসাওয়া।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানে যুক্ত থাকার অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছেন ওই জাপানি অপরাধচক্রের নেতা।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাপানি 'ইয়াকুজা' নেতাকে মিয়ানমার থেকে পারমাণবিক উপাদান চোরাচালানের চক্রান্ত করায় অভিযুক্ত করেছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগে বলা হয়, এসব উপাদান ইরানে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। 

এর আগে ২০২২ সালে, আন্তর্জাতিক অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের জন্যও অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

নিউ ইয়র্ক সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ভারপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যাটর্নি এডওয়ার্ড কিম বলেছেন, 'বার্মা থেকে নির্লজ্জের মতো অস্ত্র তৈরির উপযোগী প্লুটোনিয়াম ও অন্যান্য পারমাণবিক উপাদান চোরাচালানে যুক্ত থাকার কথা ফেডারেল আদালতে স্বীকার করেছেন তাকেশি এবিসাওয়া।'

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ হেরোইন ও মেথাফেটামিন পাচারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এছাড়া, মাদক ব্যবসায় অর্জিত অর্থ নিউ ইয়র্ক থেকে টোকিওতে পাচার করেছেন এবিসাওয়া। 

যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এবিসাওয়ার চক্রান্ত নস্যাৎ করা হয়।