আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি তথ্য সরবরাহ করেছে চীন। করোনা মহামারি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ক্রমাগত তথ্য চাওয়ার জবাবে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আত্মপক্ষ সমর্থনে এই দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, একাধিকবার ডব্লিউএইচও'র সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগকারী একমাত্র দেশ চীন।
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কোভিড-১৯ এর উৎস বুঝতে আরও তথ্য সরবরাহের জন্য চীনের কাছে আহ্বান জানায় ডব্লিউএইচও। পাঁচ বছর আগে দেশটির কেন্দ্রীয় এক এলাকায় প্রথম ওই ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়।
মাও নিং বলেছেন, কোভিড-১৯ এর উৎস শনাক্তকরণে চীন সবচেয়ে বেশি তথ্য ও গবেষণার ফলাফল সরবরাহ করে বৈশ্বিক গবেষণায় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে। ডব্লিউএইচও-র আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা একাধিকবার বলেছেন, চীন সফরে তারা যেসব জায়গায় যেতে চেয়েছেন, সেখানে গেছেন ও যেসব মানুষের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন, তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
ডব্লিউএইচও'র তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ৭৬ কোটি কোভিড-১৯ এর কেইস ও ৬৯ লাখ মৃত্যু নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সংস্থাটি কোভিড মহামারি আর বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বলে ঘোষণা দেয়।
২০২৩ সালের শুরুর দিকে করোনা মহামারির প্রথম কয়েকমাসের তথ্য আন্তর্জাতিক একটি তথ্যভাণ্ডারে সরবরাহ করেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এর কয়েকমাস পর, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে বিশ্ববাসীর জন্য নিজেদের সীমানা আবার উন্মুক্ত করে বেইজিং।
সরবরাহকৃত নমুনায় র্যাকুন কুকুরসহ বেশ কয়েকটি প্রাণীর ডিএনএতে কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাস সার্স কোভ টু পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দলের মতে, এই প্রাণিগুলো রোগটির সম্ভাব্য বাহক হতে পারে।
২০২১ সালে ডব্লিউএইচও-র নেতৃত্বাধীন একটি দল কয়েক সপ্তাহ উহান শহর ও এর আশপাশে গবেষণা করে। প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্তের ঘটনা সেখানেই শনাক্ত হয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য কোনও প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
চীনের দাবি, পুনরায় সেখানে গবেষণার প্রয়োজন নেই, বরং অন্য দেশগুলোতে প্রাথমিক সংক্রমণের খোঁজ চালানো উচিত।