উত্তর কোরিয়ার সীমানায় ড্রোন পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই অভিযোগ করেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দক্ষিণ কোরীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে পিয়ংইয়ং বলেছে, এটি সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন। উত্তর কোরিরার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি মাসে অন্তত তিনবার তাদের রাজধানী শহরের ওপর দিয়ে ড্রোন উড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। ড্রোন থেকে উত্তর কোরিয়া বিরোধী লিফলেট বিলি করা হয়েছে।
কেসিএনএ থেকে বিধ্বস্ত কিছু ড্রোনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের দাবি, এগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর ড্রোন।
উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষের দাবি, বিধ্বস্ত ড্রোনের ফ্লাইট কন্ট্রোল প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করে ২৩০টির বেশি ফ্লাইট প্ল্যান ও লগের তথ্য পেয়েছে তারা। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ‘রাজনৈতিক অপপ্রচার’ চালাতে এই ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
গত ৮ অক্টোবর ধারণকৃত এক ভিডিওতে কথিত ড্রোনটিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী দ্বীপ বায়েংনিয়ংডো থেকে গভীর রাতে উড্ডয়ন করতে দেখা যায়। এর কয়েকঘণ্টা পর পিয়ংইয়ংয়ে অবস্থিত পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের ওপর লিফলেট বিলি করতে দেখা যায় ড্রোনটিকে।
অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করেনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের পক্ষ থেকে কেবল জানানো হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের ‘একপাক্ষিক দাবি যাচাই করা বা অভিযোগের জবাব দেওয়ার’ প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না তারা।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার একজন মুখপাত্র কেসিএনএ-কে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া আবার যদি তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানে, তাহলে ‘নির্দয় আক্রমণের’ মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে।
চলতি বছর মে মাসে আবর্জনা বোঝাই বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানায় পাঠায় পিয়ংইয়ং। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রায় ছ’বছর পর উত্তরের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডামূলক বার্তা সম্প্রচার করা শুরু করে দক্ষিণ। তারপর থেকেই দুই দেশের রেষারেষি আবারও বাড়তে থাকে।