সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে সংশোধিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দেশটির স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এই অভিযোগ আনেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সংশোধিত অভিযোগপত্রেও গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার চারটি অপরাধই অন্তর্ভুক্ত আছে। এছাড়া, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ভোটের ফল পাল্টে দিতে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ক্ষমতার অপব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করারও অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তবে আগের অভিযোগের সঙ্গে মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, এবার সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয় বরং নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজয় মানতে পারছিলেন না ট্রাম্প। বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের দিন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দেশটির কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকেরা হামলা চালান। অভিযোগ রয়েছে, এতে ট্রাম্পের ইন্ধন ছিল।
একই অভিযোগ থেকে ট্রাম্পকে ১ জুলাই দায়মুক্তি দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন সাংবিধানিক অধিকারের যুক্তিতে এই রায় দেওয়া হয়। ফলে এবারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আওতা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মামলার অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষাপটে নতুন অভিযোগের আওতা নির্ধারণের দায়িত্ব নিতে পারেন ওয়াশিংটনের বিচারক টানিয়া চাটকান।
ট্রাম্পের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প দাবি করেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া দায়মুক্তির ভিত্তিতে পুরো মামলাটিই বাতিল করে দেওয়া উচিত। আদালতের রায় এড়িয়ে তাকে হেনস্থা করতেই একই অভিযোগ পুনরায় দায়ের করেছেন স্মিথ।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এই অভিযোগসহ অন্যান্য মামলাগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ ক্ষমতায় ফিরতে তাকে বাধা দেওয়ার রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।