ভারতে এবার ১৪ বছর বয়সী দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামের নাগাও জেলায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাস্তার পাশ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেছেন, ‘মেয়েটি রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। আমরা তার সঙ্গে কী হয়েছিল জানতে চাই। সে ঠিকমতো কথা বলতে পারছিল না। সে শুধু বলছিল, কমবয়সী ৩টি ছেলে তাকে ধর্ষণ করেছে।’
স্থানীয়রা বলেছেন, মেয়েটিকে প্রায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার সাইকেল পাশে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কোচিং শেষে ফেরার পথে মেয়েটি কথিত ধর্ষণের শিকার হয়। উদ্ধার হওয়ার আগে সে রাস্তার পাশে ঘণ্টাখানেক পড়ে ছিল।
ভুক্তভোগী মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
নাগাও এর নাগরিক সমাজ ইতোমধ্যে বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। অপরাধে জড়িত ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে আগামী ১২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা।
ধর্ষণের প্রতিবাদে স্থানীয় দোকান, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি মেয়েকে ৩ জন ধর্ষণ করেছে। এটি বীভৎস একটি ঘটনা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে আমরা অবরোধ ডেকেছি। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আগ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
দেশটির কলকাতায় ৩১ বছর বয়সী এক চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ভয়ানক ঘটনায় দেশব্যাপী উত্তেজনার মাঝেই এই ঘটনা সামনে এলো।